বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য ও উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগ করার পর যুক্তরাজ্য তার বাজারে বাংলাদেশের বিদ্যমান শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখবে। গত ২৫ জুন মাননীয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী লিয়াম ফক্স ও মাননীয় আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলের এই যৌথ ঘোষণা থেকে স্পস্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, ব্রেক্সিট-উত্তর ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী।বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও উন্নয়ন বন্ধন যথেষ্ট শক্তিশালী। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের অন্যতম প্রধান উৎস, দারিদ্র্য বিমোচনে ও শিল্পায়নে বাংলাদেশের অন্যতম অংশীদার।উল্লেখ্য, দুই শতাধিক ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে নিবন্ধিত এবং বাংলাদেশে শিক্ষা, ব্যাংকিং, বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ অন্যান্য খাতে তারা উন্নত পণ্য উৎপাদন, বিশেষ দক্ষতার সমন্বয়ে যুগোপযোগী প্রযুক্তির সূচনা করেছে।আরও বলতে হয় যে, বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য তৃতীয় বৃহত্তম গন্তব্য। বাংলাদেশের রপ্তানির ১০ শতাংশ ব্রিটেনের বাজারে যায়, যার ব্যবসায়িক মূল্য ৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই বাণিজ্যিক সম্পর্কের মুখ্য চালিকাশক্তি বাংলাদেশের বিশ্বমানের পোশাক শিল্প, যে শিল্পের পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যুক্তরাজ্যের সব প্রান্তে চলে যায়।আমরা ইইউ ত্যাগের পর বাংলাদেশকে আরও ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে পেতে চাই। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, বিশ্বায়নের নতুন মাত্রায় উজ্জীবিত হয়ে ব্রেক্সিট-উত্তর ব্রিটেন হবে আত্মবিশ্বাসী, উদার ও অটল। এই ব্রিটেন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সুযোগ সদ্ব্যবহারে হবে সদা তৎপর। আমাদের লক্ষ্য এমন এক ব্রিটেন যেখানে সরকার নাগরিকদের উন্নত ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য হবে নিবেদিত এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে গড়ে তুলবে সুসম্পর্ক।যুক্তরাজ্যের এই ঐতিহাসিক পরিবর্তনের প্রাক্কালে আমরা আরও বিশ্বাস করি যে, উন্মুক্ত বাণিজ্য হবে ইতিবাচক পরিবর্তন ও সার্বিক উন্নতির মূল মন্ত্র। বলতেই হয়, আমাদের সামনে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উদাহরণ: বাংলাদেশের গত এক যুগের চোখ ধাঁধানো অর্থনৈতিক পরিবর্তন। যুক্তরাজ্য আর্থিক সহায়তা এবং অন্যান্য উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মানবসম্পদ উন্নয়নে সহায়তা করেছে। বাংলাদেশে আমাদের কাজের মূল লক্ষ্য টেকসই/সর্বজনীন প্রবৃদ্ধি যা দারিদ্র্য কমায় ও সমৃদ্ধির বিস্তার সহজ করে।

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Trump to senators: Cancel holiday until Obamacare repealed

ছবি
US President Donald Trump has told Senate Republicans they should postpone their summer holiday until they have kept their promise to ditch Obamcare. Mr Trump told all 52 Republican senators at the White House: "We should hammer this out and get it done." In the last two days he has urged the repeal and replace of Obamacare, just repealing it, allowing it to fail, before reverting to repeal and replace. The Republicans' seven-year mission to overturn the law is in disarray. Mr Trump told Republican senators at a Wednesday lunch: "For seven years you promised the American people that you would repeal Obamacare. "People are hurting. Inaction is not an option. And frankly I don't think we should leave town unless we have a health insurance plan."Mr Trump warned a senator who was seated next to him that he could lose his job if he did not toe the party line. A ripple of uncomfortable laughter was heard in the room as the president said of Nevada's ...
আরও পড়ুন

What Anthony Scaramucci tells us about Donald Trump's White House

ছবি
Spicer, remember, is not and never has been a "Trump guy." He was brought into the White House at the urging of Reince Priebus, the Republican National Committee chairman-turned-White House chief of staff. Prior to his time at the RNC, Spicer kicked around a number of party committees and campaigns. He was a creature of Washington, not a creature of Trump. Scaramucci is the opposite. He is a New York City guy who made his living as a hedge fund manager. He once worked at Goldman Sachs, like a number of Trump's closest advisers. He is a personal friend of both the President and his family. (CNN's Jeff Zeleny reported that Ivanka Trump and her husband, Jared Kushner, supported Scaramucci's hire.) He is also an experienced, bare-knuckled television presence. The move from Spicer to Scaramucci reflects a decision by Trump to surround himself almost entirely with people loyal first and foremost to him -- as opposed to the Republican Party or the Washington establi...
আরও পড়ুন

ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন ৮২% তরুণ

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ-অসন্তোষের মাত্রা প্রায় কাছাকাছি। তবে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্ট বেশির ভাগ তরুণ। তাতে অবশ্য ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তাভাবনাহীন নয় তারা। দেশের বড় ধরনের অর্থনৈতিক উন্নতিতেও চাকরির বাজারে ঢুকলে কাজ পাওয়ার বিষয়ে খুব একটা আশাবাদী নয় তরুণেরা। তারুণ্য জরিপ অনুযায়ী, প্রায় ৭৪ শতাংশ তরুণ দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্ট। কিন্তু তারপরেও ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্র নিয়ে ভরসা করতে পারছে না ৮২ শতাংশের বেশি তরুণ। প্রবৃদ্ধি বাড়লেও কর্মসংস্থানের যথেষ্ট সুযোগ তৈরি না হওয়ায় এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির যে মন্দা, তাতে তারা নিজেদের নিয়ে খুব আশাবাদী হতে পারছে না।আবার জরিপে অংশ নেওয়া তরুণদের ৬৩ শতাংশই বলছে, তারা জানে না তাদের জীবনের লক্ষ্য কী। দেশের দুর্নীতি নিয়ে তারা চিন্তিত, দেশের আইনকানুন নিয়ে আছে তাদের উদ্বেগ, এমনকি ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়েও তরুণেরা চিন্তিত। ৫৬ দশমিক ৪ শতাংশ তরুণ উদ্বিগ্ন তাদের নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েই। সব মিলিয়ে উজ্জ্বল কোনো ভবিষ্যতের ছবি নিজেরাই আঁকতে পারেনি তরুণেরা।বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় ঈর্ষণীয় হলেও সেই প্রবৃদ্...
আরও পড়ুন